ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কোরবানির ঈদকে ঘিরে টুংটাং শব্দে সরগরম কামার পড়া

এইচ এম রুহুল কাদের, চকরিয়া ::  প্রতিবছর কোরবানির ঈদ এলেই টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন জেলার কামার পাড়াগুলো। বেড়ে যায় কামারদের ব্যস্ততা। হাতুড়ি পেটা শব্দে মুখর চকরিয়ার কামারপাড়াগুলো। সারাদিন তপ্ত ইস্পাত গলিয়ে চলছে, দা, বটি, ছুরি তৈরির কাজ। এখন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।

কামারপাড়ায় এখন গেলেই শোনা যায় হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহার খণ্ড। কেউ ভোঁতা হয়ে পড়া দা ও ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। কেউবা হাপর টানছেন। কেউ আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। চকরিয়ার বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায় দা, ছুরি, চাকু ও বটির বেচাকেনা বেড়েছে। দামও সন্তোষজনক।

তবে কামারপাড়ার কারিগররা অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারা দিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝেরফাড়ি বাজারের রঞ্জিত কর্মকার, সম্ভু কর্মকার, রবু কর্মকার জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরির বেশকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের প্রত্যাশা সরকারি পৃষ্ঠপেষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে ।

চকরিয়া পৌরসভার ওয়াপদা রোড়ে কামারপট্টিতে কাজ করেন শুভাষ চন্দ্র ও উত্তম কর্মকার, তারা বলেন, সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে, কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি, কুরবানির ঈদের আগে বেচাকেনা ভালো হয়।

জিয়াউল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা জানান, কুরবানি ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা ।

পাঠকের মতামত: